বাতাবি লেবুর কান্ড ছিদ্রকারী পোকা
এই পোকা কীড়া বাতাবি লেবুর গাছের ডগার মাঝখানে গর্ত খঁড়ে এবং এভাবে গর্ত খঁড়তে খঁড়তে প্রায় ২৫ মিলিমিটার পর্যন্ত উপরে উঠে যায় । আক্রান্ত ডগা মরে গেলে কীড়া দিক পরিবর্তন করে নিচের দিকে নেমে গাছের বড় বড় শাখায় প্রায় ৯ মিলিমিটার পরিমাণ সুড়ঙ্গের সৃষ্টি করে এবং মাঝে মাঝে গর্ত খুঁড়তে থাকে । সুড়ঙ্গ মুখে একপ্রকার আঁঠাল পদার্থ বের হয় । আক্রান্ত ডগা আস্তে আস্তে কালো হয়ে মরে যায় । ডগা মারা যাওয়ার পর কীড়া প্রধান কান্ডে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি করে ।
১। বাতাবি লেবুর গাছ প্রায়ই পরীক্ষা করে দেখা দরকার এবং যদি কোথাও কোন পোকা দেখা যায় তাহলে তা ধরে মেরে ফেলতে হবে । ২। মরা ও আক্রান্ত ডগা কেটে সংগ্রহ করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে । সুড়ঙ্গের ভিতরে সুড়ঙ্গ প্রতি ৫-১০ মিলিলিটার ধুপনবিষ যেমন কার্বন বাইসালফাইড, ক্লোরোফর্ম, পেট্রোল ইত্যাদি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ কমিয়ে সুড়ঙ্গের মুখ কাদামাটি দিয়ে বন্ধ করে দিলে সুড়ঙ্গের ভিতরকার কীড়া ও পূর্ণবয়স্ক পোকা মারা পড়বে । ৩। গর্তের মুখে কীড়া কাঠের গুড়া জমা করে । হঠাৎ করে গুড়া সরিয়ে গুড়ার নিচে লুকিয়ে থাকা কীড়া ধরে মেরে ফেলা যায় । ৪। গর্তের মধ্যে প্যারাডাইক্লোরোবেনজিন ঢেলে দিয়ে এই পোকা দমন করা যায় ।